গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে পঞ্চায়েতে উত্তেজনা হরিশচন্দ্রপুর ১ ব্লকের কশিদা তে

21st January 2020 মালদা
গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে পঞ্চায়েতে উত্তেজনা হরিশচন্দ্রপুর ১ ব্লকের কশিদা তে


 ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজে পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছিল, দুদিন বাদে পঞ্চায়েত ভাঙচুরের অভিযোগে তৃণমূল নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের প্রধান, আর ওই ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এ, পঞ্চায়েতের দুর্নীতি আড়াল করতেই পঞ্চায়েত ভাঙচুর এর মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে |
 এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক তাজমুল হোসেন জানান যারা কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে এরা তৃণমূলের নাম ভাঙ্গিয়ে দল বিরোধী কাজকর্ম করছে। আর পঞ্চায়েতে এমএমডিএস ক্রিম নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি। শেফালী খাতুন বা অন্যরা যদি দলেরই সদস্য হতো তাহলে তারা দলের নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে বিক্ষোভ কর্মসূচি করতো। এরা পঞ্চায়েতে বিক্ষোভের নামে ভাঙচুর চালিয়েছে তাই এফআইআর করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের শিশু ও নারী কল্যাণ কর্মদক্ষ মর্জিনা খাতুন জানান মাননীয় মমতা ব্যানার্জি বাংলার উন্নতিতে অনেক প্রকল্প নিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রকল্প গুলো মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না এই নিয়ে বারবার অভিযোগ আসছে। কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে এমএমডি স্কিমে গাছ লাগানোর ব্যাপারে বিশদে জানতে এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে দলের নেত্রী শেফালী খাতুন পঞ্চায়েতে যায়। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তার নামে। এটা ভিডিও ফুটেজ দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। শেফালী খাতুন তৃণমূলেরই বঙ্গজননী শাখার নেত্রী তাছাড়া সোমনাথ মিত্র আমাদের দলের যুবর ব্লকের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট। আসন্ন যুব উৎসবে সোমনাথ মিত্র মন্ত্রী প্রতিনিধির দায়িত্বে আছেন।

এ প্রসঙ্গে শেফালী খাতুন জানান কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিভিন্ন প্রকল্পে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য বিভিন্ন স্কিম করেছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। কিন্তু প্রধান সবকিছু আধিকারিকদের যোগসাজসে সেগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার মহিলারা। এ সমস্ত বিষয় জানতে সেদিন পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল এবং তার সাথে প্রধানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে দিনে প্রধান সহ অন্যান্য আধিকারিকরা অনুপস্থিত ছিলেন আমরা কোথাও অভিযোগ জানাতে পারিনি। পাঁচটা অবধি থেকে আমাদেরকে ঘুরে চলে আসতে হয়। সেদিনের বিক্ষোভের সমস্ত ভিডিও ফুটেজ আছে। বিক্ষোভ এ কোনরকম ভাঙচুর করা হয়নি তার প্রমাণ আমরা দিতে পারব। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আন্দোলনকে ধামাচাপা দিতেই প্রধান এসব কাজ করছে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ হরিশ্চন্দ্রপুর
কুশিদা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান সহ অন্যান্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাদের অভিযোগ সরকার থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অনুদান বরাদ্দ হচ্ছে কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধান ও আধিকারিকদের যোগসাজশে সেগুলি আত্মসাৎ হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ব্লকের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট শেফালী খাতুন অভিযোগ করেন কুশিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে এমএমডি স্কিমে গাছ লাগানো ও অন্যান্য কাজের জন্য এক লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা করে স্কিম কিছু বরাদ্দ হয়েছিল। সেই প্রকল্পে এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলির মহিলাদের কাজ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেখা যাচ্ছে সেই স্কিমের টাকা প্রধান ও তার কাছের কিছু মেম্বারদের দলনেত্রীর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংক একাউন্টে যাচ্ছে এবং সেখান থেকেই টাকাগুলি আত্মসাৎ হচ্ছে। এ বিষয়ে কুশিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আখতারি বিবিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দিতে চাননি।হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু এ নিয়ে বলেন প্রধানের কোন অভিযোগ পাইনি, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে |

                 ছবি - দেবাশীষ পাল





Others News